চিন্তার খোরাক যখন "১৯", পর্ব -২

একটা গ্রন্থ প্রনয়নের জন্য গ্রন্থকারকে অবশ্যই তা প্রথমে সুত্রবদ্ধ করে নিতে হয় তার মস্তিস্কে।দুই দশক ধরে তার পূর্ব উপাদানকে সাজিয়ে পুস্তাকা করে রুপ দেওয়ার জন্য কেউ ই তার অসতর্ক রচনার উপর নির্ভর করে থাকতে পারেনা।মুহাম্মাদ সাঃ যদি আল কুরআনের রচিয়তাই হতেন তাহলে অন্যর মত তাকেও তারিত হতে হত তার পরিকল্পনা সুত্রবদ্ধ রাখতে।সুতরাং তাকেও হয়ত ভাবতে হত ঃ আমি তো রচনা করতে চলেছি এক খানা বৃহাদারকার গ্রন্থ। এই আরধ্য কাজ টি সম্পন্য করতে আমার সময় লাগবে ২৩ বছর। আর আমার অনুসারিদের সঠিক নির্দেশনা ও পাঠের জন্য গ্রন্থখানি তে প্রয়োজন হবে কয়েকটি অধ্যায়ের! এরপর আমরা মনে করতে পারি, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ১১৪ অধ্যায়ের গ্রন্থখানি সমাপ্ত করতে।১১৩ নয় ১১৫ নয়, কিন্ত ১৪।"১৪" ই কেন? কারন এটা ১৯ এর গুনিতক বলেই কি? আল কুরআনে ১১৪ টি অধ্যায়ের সন্নিবেশে সম্ভভ হল কি করে! আমাদের ছিদ্রান্বেষী লোকদের সেই একই জবাব "ঘটনাচক্র"। বিস্ময়কর এই বিষয়টির ব্যাখ্যায় তার অভিধানে কি আর কোন শব্দ নেই? সুস্পষ্ট বলতে হয় " নেই"। মানুষের এটাই একটা ব্যাধি যে যখনি কোন ঘটনার সন্তোষজনক কোন কৈফিয়ত সে দিতে চায়,তখনই এমনি একটা শব্দ আবিষ্কার করে বসে।যা দিয়ে সমস্যার সমাধান দেওয়ার নামে নিজেকেই দিয়ে যায় ধোকা।শব্দটির আড়ালে সে নিতে চায় আশ্রয়।একজন অবিশ্বাসী মিথ্যা অভিযোগ আনতে প্রস্তুত যে,মুহাম্মাদ সাঃ রচনা করেছেন এই গ্রন্থ,কিন্ত এই স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় যে,১৪০০ বছর আগে মরুভুমির এই নিরক্ষর মানুষটি কোন কাগজ কলম ব্যাতিরেকেই কি সুন্দর গানিতিক বিন্যাস অবলম্বন করেছেন! , যেহেতু কোন অবিশ্বাসীই স্বীকার করতে রাজি নয় যে,মুহাম্মাদ সাঃ এই অসাধ্য সাধনে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছিলেন,সেহেতু তাদের সবাইকে হিসেব থেকে বাদ দেওয়ার যথেষ্ট উদারতা দেখানো আমাদের প্রয়োজন এবং এই উদারতা আমরা প্রদর্শন করতে পারি। মুহাম্মাদ সাঃ এর প্রতিদ্বন্দীদের সাথে এই বিষয়টি সম্পর্কে তবুও আমরা একমত হতে পারি যে,মুহাম্মদ সাঃ এর পক্ষে কুরআন রচনা করা অসম্ভব। এই বিষয়টির উপরেই আমরা জোর দিতে চাই এইজন্য যে, শত্রুপক্ষ অভিযোগ আনয়নে তৎপর কিন্ত সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় এতটুকু। সুহৃদ ও শত্রুপক্ষ সমভাবে একমত যে, প্রতিশ্রুতি পালনে মুহম্মদ সাঃ ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়। পৌত্তলিক স্বদেশবাসীই তাকে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট উপাধিতে "আস সাদিক,আল আমিন" প্রতিজ্ঞাপরায়ন ও সত্যবাদী হিসেবে।মুহাম্মাদ নামের এই মানুষটি যদি বলতেন "এর উপরেও রয়েছে উনিশ" -উনিশের গননায় আবদ্ধ করা হবে তোমাকে, তোমার উপর আরোপ করা হবে উনিশ।তাহলে অবশ্যই জানিয়ে যেতেন তার এই ভয় প্রদর্শনের ব্যাপারটি। , প্রতিজ্ঞা পুরনে মুহাম্মদ সাঃ এর হৃদয় কতখানি বৃহৎ এবং উদার ছিল তা আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার.... , আমরা ধরে নিতে পারি মুহাম্মদ সাঃ হয়তবা মনে মনে ভেবেছিলেন আমার গ্রন্থটা হবে একটা অনুপম গ্রন্থ।এমন কোন গ্রন্থ ইতিপুর্বে কখনো লিখা হয়নি এবং হবেনা ভবিষ্যতেও, গানিতিক কাঠামোই হবে এর ভিত্তি।যাবতীয় বিরুপ হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করার জন্য এই গ্রন্থটা আমি প্রতিষ্ঠিত করব অনেক জটিল গানিতিক বুননে।একটি শব্দও কেউ সংযোজন করতে পারবে না,বিনস্ট করতে পারবে না এই গ্রন্থ অথবা নতুন কিছু সন্নিবেশ করতে পারবে না এই গ্রন্থে ঃআর ১৯ ই হবে এই পদ্ধতির বুনিয়াদ। , কিন্ত ১৯ কেন? এটা কি এইজন্য যে,কার্যকারিতায় এই সংখ্যাটি অনেক সহজ? না, মোটেই না।বরং বড় বেশি কঠিন এই সংখ্যাটি! এর কোন বিভাজক নেই! অসম এই সংখ্যাটির সহ সংখ্যা ১৮ -কে আপনি ২,৩,৬,৯ দিয়ে ভাগ করতে পারবেন ; এবং এর আর একটি সহ সংখ্যা ২০-কে ২,৪,৫ ও ১০ দিয়ে ভাগ করতে পারেন; কিন্ত ১৯ অবিভাজ্য। কারনঃঅংকশাস্ত্রে এটা একটা মৌলিক সংখ্যা এবং এটা একটা অদ্বিতীয় অনুপম সংখ্যাও বটে ; কারন-অংকশাস্ত্রের সবথেকে ছোট সংখ্যা ১-দিয়ে এর শুরু,আর সবচেয়ে বড় সংখ্যা ৯ -দিয়ে শেষ। গানিতিক পদ্ধতির হয়তবা এটা "আদি" এবং "অন্ত" সম্ভবত ঃ আইনস্টাইন নিজেও ১৯ এর নামতা পারতেন না, মুহাম্মদ সাঃ কি পরিমান জানতেন ১৯ এর নামতা? ধরা যাক,নিশ্চয়ই অনন্ত পরিমান। , চলবে..................... , Al Qur'an the ultimate miracle , আগের পর্ব না পড়ে থাকলে অনুগ্রহ করে পড়ে নিন,তাহলে বুঝতে পারবেন। । প্রথম পর্বের লিংক ঃ
চিন্তার খোরাক যখন "১৯", পর্ব -১

No comments

Powered by Blogger.