চিন্তার খোরাক যখন "১৯", পর্ব -১
অমুসলিমদের মিথ্যা অভিযোগের উত্তরে মহান গ্রন্থাকার আল্লাহ সুব. ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন, " অচিরেই আমি তাকে নিক্ষেপ করব সাকারে- জাহান্নামের মহা অগ্নিকুন্ডে"।
শাস্তির এই বানী প্রদান করার পরই আল্লাহ পাক বাক্যটি সম্পন্ন করেছেন এইভাবে,
৷ عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ
এর উপরেও রয়েছে উনিশ (১৯)। -----কুর'আনঃ৭৪;৩০
অন্যকথায় কেও যদি অপবাদ দেয় এই বলে যে, এই মহান গ্রন্থ আল কুরআন এর রচিয়তা মুহাম্মদ সাঃ। তবে সেই ব্যাক্তি বাধা পরবে উনিশ এর চক্রে; গুনতেই হবে তাকে উনিশের গুরুত্ব।
,
কিন্ত কি এই উনিশের গুরুত্ব!
অতিতে অনেক ব্যাখ্যাকারী এই ১৯ এর বিভিন্ন আনুমানিক সুন্দর সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
কেউ বলেছেন ১৯ জন ফেরেস্তার কথা বলা হয়েছে,কেওবা বলেছেন ইসলামের মুলস্তম্ভসমুহ।
কিন্ত প্রত্যক ব্যাখ্যা কারই অনুমানের ইতি টেনেছেন এই বলে যে,সর্বজ্ঞ আল্লাহ সুব. সবিশেষে অবগত আছেন বিষয়টি সম্পর্কে।আমাদের কোন ব্যাখ্যা কারই তথ্য নির্ভর নয় তার উক্তি সম্পর্কে।
।
প্রকৃত পক্ষে ১৯ একটি সাধারন সংখ্যা।
কুরআন নাজিলের সময় এই ১৯ দিয়ে আরবরা কি বুঝতো!
শুধুই একটা সাধারন সংখ্যা হিসেবেই জানতো,
এর আর কোন অর্থই ছিল না, দশ যোগ নয় (১০+৯) ছাড়া।
গত ১৪০০ বছরেও আমরা কি ১৯ দিয়ে আর অন্য কিছু বুঝেছি? না,শুধু এটাই বুঝেছি, ১৯=১০+৯
,
পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় তাদের নিজেদের সংখ্যাতাত্বিক মুল্যায়ন ছাড়াও, বিভিন্ন সংখ্যার রয়েছে বিভিন্ন অর্থ ও তাৎপর্য। যেমনঃ "৭৮৬" সংখ্যাটি যেকোন মুসলিম শিশুকে জিজ্ঞেস করুন নির্দিধায় বলে দিবে,যে এর মানে,
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
,
"পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"
,
কিভাবে এটা হল?
সংক্্ষেপে বলা যায়,হিব্রু এবং আরবি বর্নমালায় একটা সংখ্যাতাত্বীক মুল্যায়ন রয়েছে। উল্লেখিত বাক্যর প্রত্যকটি অক্ষরের সংখ্যাতাত্বীক মুল্য যদি যোগ করা হয়,তাহলে হবে "৭৮৬"
এটা কি আশ্চর্যের নয়! মুসলিমরা ১৪০০ বছর ধরে,
"এর উপরেও রয়েছে উনিশ" বাক্যটি বার বার পাঠ করার পরে এর অর্থের আনুষাঙ্গিক আয়ত্ব করা সম্ভব হয়নি।
একমাত্র আল্লাহই জানেন এর আসল অর্থ কি!
কিন্ত যদি মুহাম্মাদ সাঃ এই গ্রন্থ রচনা করতেন,তাহলে অবশ্যই তার জানা থাকতো,এই বাক্যর অর্থ আসলে কি!
,
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর এই সুরার অবসিষ্ঠ অংশ তখন আর নাজিল হল না,
জিবরাইল এর প্রথম পরিদর্শন এ সুরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাজিল হয়েছিল, ১৪ টি আয়াত যুক্ত হল এবারে।
তাহলে আয়াতের সংখ্যা হল কয়টি?
১৯ টি,
কিভাবে এটা সংঘটিত হল! উনিশ কথাটি বলার পরই নাজিল হল ১৯ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা!
"স্রেফ একটা ঘটনাচক্র,"সম্ভাবত এই জবাবটাই দিবে সন্দেহবাদিরা।
ঘটনাচক্র হতে পারে,অবশ্যই স্বীকার করি।
কিন্ত প্রথম নাজিলকৃত ওই ৫ আয়াতের শব্দসংখ্যা যে সঠিক উনিশ,তা তাদের জানা ছিল কি!
অর্থাৎ ১৯*১ এটাও কি ঘটনাচক্র?
এই উনিশটি শব্দের অক্ষর ও কিন্ত ৭৬ যা সম্পুর্ন রুপে ১৯ এর গুনিতক, অর্থাৎ ১৯*৪=৭৬!
এটাই বা সংঘটিত হল কিভাবে?
কুরআনের সর্বশেষ সুরা বা অধ্যায় থেকে যদি পেছন থেকে আমরা গননা শুরু করি তবে ৯৬ নম্বর সুরায় আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করব, পপশ্চাৎ দিক থেকে এই ৯৬ নম্বর সুরাটি ১৯ তম!এটা কিভাবে সম্ভব যে ১৯ আয়াত বিশিষ্ট সুরাটি পশ্চাৎ দিক থেকেও ১৯ এর বন্ধনে আবদ্ধ?
" ঘটনাচক্র" হয়ত এই জবাব আসবে আবারো।...
.
Al Quran the ultimate miracle
।
চলবে...............
শাস্তির এই বানী প্রদান করার পরই আল্লাহ পাক বাক্যটি সম্পন্ন করেছেন এইভাবে,
৷ عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ
এর উপরেও রয়েছে উনিশ (১৯)। -----কুর'আনঃ৭৪;৩০
অন্যকথায় কেও যদি অপবাদ দেয় এই বলে যে, এই মহান গ্রন্থ আল কুরআন এর রচিয়তা মুহাম্মদ সাঃ। তবে সেই ব্যাক্তি বাধা পরবে উনিশ এর চক্রে; গুনতেই হবে তাকে উনিশের গুরুত্ব।
,
কিন্ত কি এই উনিশের গুরুত্ব!
অতিতে অনেক ব্যাখ্যাকারী এই ১৯ এর বিভিন্ন আনুমানিক সুন্দর সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
কেউ বলেছেন ১৯ জন ফেরেস্তার কথা বলা হয়েছে,কেওবা বলেছেন ইসলামের মুলস্তম্ভসমুহ।
কিন্ত প্রত্যক ব্যাখ্যা কারই অনুমানের ইতি টেনেছেন এই বলে যে,সর্বজ্ঞ আল্লাহ সুব. সবিশেষে অবগত আছেন বিষয়টি সম্পর্কে।আমাদের কোন ব্যাখ্যা কারই তথ্য নির্ভর নয় তার উক্তি সম্পর্কে।
।
প্রকৃত পক্ষে ১৯ একটি সাধারন সংখ্যা।
কুরআন নাজিলের সময় এই ১৯ দিয়ে আরবরা কি বুঝতো!
শুধুই একটা সাধারন সংখ্যা হিসেবেই জানতো,
এর আর কোন অর্থই ছিল না, দশ যোগ নয় (১০+৯) ছাড়া।
গত ১৪০০ বছরেও আমরা কি ১৯ দিয়ে আর অন্য কিছু বুঝেছি? না,শুধু এটাই বুঝেছি, ১৯=১০+৯
,
পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় তাদের নিজেদের সংখ্যাতাত্বিক মুল্যায়ন ছাড়াও, বিভিন্ন সংখ্যার রয়েছে বিভিন্ন অর্থ ও তাৎপর্য। যেমনঃ "৭৮৬" সংখ্যাটি যেকোন মুসলিম শিশুকে জিজ্ঞেস করুন নির্দিধায় বলে দিবে,যে এর মানে,
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
,
"পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"
,
কিভাবে এটা হল?
সংক্্ষেপে বলা যায়,হিব্রু এবং আরবি বর্নমালায় একটা সংখ্যাতাত্বীক মুল্যায়ন রয়েছে। উল্লেখিত বাক্যর প্রত্যকটি অক্ষরের সংখ্যাতাত্বীক মুল্য যদি যোগ করা হয়,তাহলে হবে "৭৮৬"
এটা কি আশ্চর্যের নয়! মুসলিমরা ১৪০০ বছর ধরে,
"এর উপরেও রয়েছে উনিশ" বাক্যটি বার বার পাঠ করার পরে এর অর্থের আনুষাঙ্গিক আয়ত্ব করা সম্ভব হয়নি।
একমাত্র আল্লাহই জানেন এর আসল অর্থ কি!
কিন্ত যদি মুহাম্মাদ সাঃ এই গ্রন্থ রচনা করতেন,তাহলে অবশ্যই তার জানা থাকতো,এই বাক্যর অর্থ আসলে কি!
,
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর এই সুরার অবসিষ্ঠ অংশ তখন আর নাজিল হল না,
জিবরাইল এর প্রথম পরিদর্শন এ সুরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাজিল হয়েছিল, ১৪ টি আয়াত যুক্ত হল এবারে।
তাহলে আয়াতের সংখ্যা হল কয়টি?
১৯ টি,
কিভাবে এটা সংঘটিত হল! উনিশ কথাটি বলার পরই নাজিল হল ১৯ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা!
"স্রেফ একটা ঘটনাচক্র,"সম্ভাবত এই জবাবটাই দিবে সন্দেহবাদিরা।
ঘটনাচক্র হতে পারে,অবশ্যই স্বীকার করি।
কিন্ত প্রথম নাজিলকৃত ওই ৫ আয়াতের শব্দসংখ্যা যে সঠিক উনিশ,তা তাদের জানা ছিল কি!
অর্থাৎ ১৯*১ এটাও কি ঘটনাচক্র?
এই উনিশটি শব্দের অক্ষর ও কিন্ত ৭৬ যা সম্পুর্ন রুপে ১৯ এর গুনিতক, অর্থাৎ ১৯*৪=৭৬!
এটাই বা সংঘটিত হল কিভাবে?
কুরআনের সর্বশেষ সুরা বা অধ্যায় থেকে যদি পেছন থেকে আমরা গননা শুরু করি তবে ৯৬ নম্বর সুরায় আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করব, পপশ্চাৎ দিক থেকে এই ৯৬ নম্বর সুরাটি ১৯ তম!এটা কিভাবে সম্ভব যে ১৯ আয়াত বিশিষ্ট সুরাটি পশ্চাৎ দিক থেকেও ১৯ এর বন্ধনে আবদ্ধ?
" ঘটনাচক্র" হয়ত এই জবাব আসবে আবারো।...
.
Al Quran the ultimate miracle
।
চলবে...............
No comments