বাল্যবিবাহ নয়, বাল্য লিভ-টুগেদার করুন...!
বেশ কিছু আগের কথা। গিয়েছিলাম সাইবার ক্যাফেতে। ছোট ছোট খোপ, ভেতরে কম্পিউটার ব্রাউজিং করছে অনেকে। খোপের দরজার সীমানা এতটুকু, ভেতরে দেখার উপায় নেই বসে থাকা মানুষটি ঠিক কি করছে। হঠাৎ ঢিলা করে সিটকিনি আটকানোয় সম্ভবত কোন খোপের দরজা খুলে গেলো। ভেতরের দৃশ্য অবলোকনে আমি বেশ অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। দেখলাম, সম্ভবত ফাইভ বা সিক্স ক্লাসের কোন ছাত্র কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে মনোযোগ দিয়ে মনিটরে কিছু দেখছে, তার এক হাত বিশেষ কাজে ব্যস্ত, অন্যহাত মাউসে। শরীরে কম্পন, ঘাড় বেয়ে দরদর করে ঘাম নামছে। মনিটরের দিকে তাকিয়ে কি দেখলাম সেটা আর নাই বা বললাম।
কিছুদিন আগে, এক নাস্তিককে দেখলাম সমকামীতার পক্ষে বেশ প্রচারণা চালাতে।
তার দাবি-
কারো যদি পেছন দিক দিয়ে (পুটুকাম) করার ইচ্ছা হয়, সেটাকে আপনি গুরুত্ব দেবেন না ?
সে তো মানুষ, তার কি ইচ্ছার কোন মূল্য নেই ?
তার ইচ্ছাকে দমন করা কি মানবতাবিরোধী নয় ?
একটু পর ঐ লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আপনি কি ১৮ বছরের নিচে বিয়ে বিরোধী ?
সে বললো অবশ্যই।
আমি বললাম- অধিকাংশ ছেলেমেয়ের শারিরিক চাহিদা এর আগে চলে আসে। সেই সময় তার ইচ্ছাকে আপনি আইন করে নিষিদ্ধ করে দিলেন এটা কি মানবতাবিরোধী নয় ?
আমার এ বক্তব্যের পর সে দেখলাম চুপসে গেলো।
আসলে সমাজের স্ট্যান্ডার্ড মূল্যবোধ কিন্তু মানুষই চালু করে। যেমন- ইহুদীবাদী ষড়যন্ত্রকারীরা এখন বাংলাদেশের সমাজে যে স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেম (মূল্যবোধ) চালু করতে চাইছে-
১) ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করা খারাপ,
২) সমকামীতা ভালো জিনিস,
৩)লিভ-টুগেদার খারাপ কিছু নয়।
৪) প্রয়োজনে গর্ভপাত করিয়ে শিশু ভ্রুণকে হত্যা করেন। এতে কোন অন্যায় হবে না।
৫) নারীরা ছোট থেকে ছোটতর পোষাক পরবে, কিন্তু কোন পুরুষ সেদিকে তাকালে অন্যায় হবে।
৬) মায়েরা তার ছেলেকে মাসিকের কথা বলবে, মেয়ে তার বাবাকে দিয়ে সেনোরা কিনাবে।এতে কোন সমস্যা নাই।
৭) জাতীয় পর্যায়ে ধর্মের কোন অস্তিত্ব থাকবে না, ধর্ম থাকবে ধর্মালয় বা ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠে।
৮) মুসলমানরা অন্য ধর্মকে কালচার হিসেবে পালন করতে পারবে, কিন্তু অন্য ধর্মের লোকেরা মুসলমানদের রীতি-নীতি পালন করতে পারবে না।
৯) দাড়ি-টুপি জঙ্গীদের পোষাক। কেউ ইসলাম ধর্ম পালন করলেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে।
১০) ধর্ম মানুষকে ব্যাকডেটেড করে, ধর্মহীনতা মানুষকে আধুনিক করে।
১১)যারা নাচ-গান-নাটক-সিনেমা-খেলাধূলা করে তারা সমাজে সর্বোচ্চ শ্রেণীর (সেলিব্রেটি) লোক, আর যারা ধর্ম-কর্ম করে সমাজে নিচু শ্রেণীর লোক।
১২) প্যাগানদের (মূর্তিপূজক) যেকোন ধর্মীয় রীতি সংস্কৃতি হিসেবে প্রচার করা।
আপনি দেখবেন, বিভিন্ন ইহুদীবাদী মিডিয়া কিন্তু এই স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেমকে (মূল্যবোধকে) স্ট্যান্ডার্ড বানানোর চেষ্টা করে এবং সেটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে সমাজকে বিচার করার জন্য প্রচারণা চালায়। সমস্যা হলো মুসলমানদের নিয়ে। তারা ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের বানানো স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেমকে (মূল্যবোধকে)স্ট্যান্ডার্ড ধরে নেয় এবং সেটা অনুসরণেই জীবন পরিচালনা করে, ভুল হয় তখনই। কারণ একজন মুসলমানের মানা উচিত ইসলাম ও মুসলমানদের বানানো মূল্যবোধ, ইহুদীবাদীদের বানানো কথিত ‘মূল্যবোধ’ নয়।
শুরু করেছিলাম, বাল্যবিবাহ দিয়ে। ‘বাল্যবিবাহ খারাপ’ এটা কিন্তু ঐ ইহুদীবাদীদের বানানো স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেম (মূল্যবোধ) এর অংশ। যদিও তাদের সমাজে বাল্য লিভ-টুগেদার করা খারাপ কিছু নয়। এমনকি সেটা করতে গিয়ে যদি পেটে বাচ্চা আসে, তবে সেই বাচ্চাটাকে হত্যা করাও খারাপ কিছু নয়। কিন্তু মুসলমানদের সামাজিক মূল্যবোধ কিন্তু সেরকম নয়। মুসলমানদের মূল্যবোধ হচ্ছে- বাল্যবিবাহ খারাপ কিছু নয়। তুমি করলেও করতে পারো, না করলেও করতে পারো। তবে তুমি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করতে পারবে না। সেটা হারাম হবে। এবং গর্ভপাত করানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিঃদ্রঃ- এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমরা ইয়াহুদীদের তৈরিকৃত আইন অনুযায়ী চলে হারাম কাজে সামিল হবো ?
নাকি নিজেকে জাহান্নামের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য ইসলামকে অনুসরণ করবো....?
কিছুদিন আগে, এক নাস্তিককে দেখলাম সমকামীতার পক্ষে বেশ প্রচারণা চালাতে।
তার দাবি-
কারো যদি পেছন দিক দিয়ে (পুটুকাম) করার ইচ্ছা হয়, সেটাকে আপনি গুরুত্ব দেবেন না ?
সে তো মানুষ, তার কি ইচ্ছার কোন মূল্য নেই ?
তার ইচ্ছাকে দমন করা কি মানবতাবিরোধী নয় ?
একটু পর ঐ লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আপনি কি ১৮ বছরের নিচে বিয়ে বিরোধী ?
সে বললো অবশ্যই।
আমি বললাম- অধিকাংশ ছেলেমেয়ের শারিরিক চাহিদা এর আগে চলে আসে। সেই সময় তার ইচ্ছাকে আপনি আইন করে নিষিদ্ধ করে দিলেন এটা কি মানবতাবিরোধী নয় ?
আমার এ বক্তব্যের পর সে দেখলাম চুপসে গেলো।
আসলে সমাজের স্ট্যান্ডার্ড মূল্যবোধ কিন্তু মানুষই চালু করে। যেমন- ইহুদীবাদী ষড়যন্ত্রকারীরা এখন বাংলাদেশের সমাজে যে স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেম (মূল্যবোধ) চালু করতে চাইছে-
১) ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করা খারাপ,
২) সমকামীতা ভালো জিনিস,
৩)লিভ-টুগেদার খারাপ কিছু নয়।
৪) প্রয়োজনে গর্ভপাত করিয়ে শিশু ভ্রুণকে হত্যা করেন। এতে কোন অন্যায় হবে না।
৫) নারীরা ছোট থেকে ছোটতর পোষাক পরবে, কিন্তু কোন পুরুষ সেদিকে তাকালে অন্যায় হবে।
৬) মায়েরা তার ছেলেকে মাসিকের কথা বলবে, মেয়ে তার বাবাকে দিয়ে সেনোরা কিনাবে।এতে কোন সমস্যা নাই।
৭) জাতীয় পর্যায়ে ধর্মের কোন অস্তিত্ব থাকবে না, ধর্ম থাকবে ধর্মালয় বা ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠে।
৮) মুসলমানরা অন্য ধর্মকে কালচার হিসেবে পালন করতে পারবে, কিন্তু অন্য ধর্মের লোকেরা মুসলমানদের রীতি-নীতি পালন করতে পারবে না।
৯) দাড়ি-টুপি জঙ্গীদের পোষাক। কেউ ইসলাম ধর্ম পালন করলেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে।
১০) ধর্ম মানুষকে ব্যাকডেটেড করে, ধর্মহীনতা মানুষকে আধুনিক করে।
১১)যারা নাচ-গান-নাটক-সিনেমা-খেলাধূলা করে তারা সমাজে সর্বোচ্চ শ্রেণীর (সেলিব্রেটি) লোক, আর যারা ধর্ম-কর্ম করে সমাজে নিচু শ্রেণীর লোক।
১২) প্যাগানদের (মূর্তিপূজক) যেকোন ধর্মীয় রীতি সংস্কৃতি হিসেবে প্রচার করা।
আপনি দেখবেন, বিভিন্ন ইহুদীবাদী মিডিয়া কিন্তু এই স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেমকে (মূল্যবোধকে) স্ট্যান্ডার্ড বানানোর চেষ্টা করে এবং সেটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে সমাজকে বিচার করার জন্য প্রচারণা চালায়। সমস্যা হলো মুসলমানদের নিয়ে। তারা ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের বানানো স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেমকে (মূল্যবোধকে)স্ট্যান্ডার্ড ধরে নেয় এবং সেটা অনুসরণেই জীবন পরিচালনা করে, ভুল হয় তখনই। কারণ একজন মুসলমানের মানা উচিত ইসলাম ও মুসলমানদের বানানো মূল্যবোধ, ইহুদীবাদীদের বানানো কথিত ‘মূল্যবোধ’ নয়।
শুরু করেছিলাম, বাল্যবিবাহ দিয়ে। ‘বাল্যবিবাহ খারাপ’ এটা কিন্তু ঐ ইহুদীবাদীদের বানানো স্যোশাল ভ্যালু সিস্টেম (মূল্যবোধ) এর অংশ। যদিও তাদের সমাজে বাল্য লিভ-টুগেদার করা খারাপ কিছু নয়। এমনকি সেটা করতে গিয়ে যদি পেটে বাচ্চা আসে, তবে সেই বাচ্চাটাকে হত্যা করাও খারাপ কিছু নয়। কিন্তু মুসলমানদের সামাজিক মূল্যবোধ কিন্তু সেরকম নয়। মুসলমানদের মূল্যবোধ হচ্ছে- বাল্যবিবাহ খারাপ কিছু নয়। তুমি করলেও করতে পারো, না করলেও করতে পারো। তবে তুমি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করতে পারবে না। সেটা হারাম হবে। এবং গর্ভপাত করানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিঃদ্রঃ- এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমরা ইয়াহুদীদের তৈরিকৃত আইন অনুযায়ী চলে হারাম কাজে সামিল হবো ?
নাকি নিজেকে জাহান্নামের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য ইসলামকে অনুসরণ করবো....?
No comments